সম্প্রতি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যু/দ্ধকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের ব/র্বর হামলার মাধ্যমে যে ভাবে মানুষকে হ/ত্যা করা হচ্ছে তা সত্যই হৃদয়বিদারক। অথচ সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখচ্ছে শুধু মাত্র নিন্দা জানিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
লুয়াই আহমেদ নামের এক ইয়েমেনি লেখক লিখেছেন নিচের এই লেখাটি। তিনি আরবীতে লিখেছেন। আমি সেই আরবীর ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছি কিছুক্ষণ আগে।
” আরব আমরা, আমাদের বুঝতে হবে যে ইসরাইল এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলো আমাদের নি/র্যাতক নয়, আমাদের শত্রুও নয়। আমরা আরবরাই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু।
আমরা আরবরাই আমাদের সবচেয়ে বড় নি/র্যাতক।
ইসরায়েল আর পাশ্চাত্যের দেশগুলো আমাদের যত খু/ন করেছে, আর যত অ/ত্যাচার করেছে তার চেয়ে দশ লক্ষ গুণ বেশি করেছি আমরা আরবরাই।
আমার মা যখন শিশু ছিল, ইসরায়েল আমার মা’কে বিয়ে দেয়নি। দিয়েছে আমাদের আরবরাই।
গত দশটা বছর ইয়েমেনের ওপর বো/মা ফেলে যারা চার লক্ষ ইয়েমেনিকে খু/ন করেছে, তারা কোনও ইসরায়েলি বা পাশ্চাত্যের কেউ নয়, তারা আমরাই, আরবরাই।
পুবে আর পশ্চিমে ইসলামী মৌলবাদের বীজ ইসরায়েল বপন করেনি। বপন করেছে আমাদের মসজিদ। বপন করেছে আমাদের পবিত্র কিতাব। বপন করেছে আমাদের নমস্য ইমামেরা।
বপন করেছে সেই শিক্ষা যা আমরা নিজেরা শিখি, এবং অন্যদের শেখাই। পাশ্চাত্যের দেশগুলো আমাদের শেখায়নি নারীকে যৌ/নবস্তু হিসেবে দেখতে, আমাদের লোকেরাই শিখিয়েছে।
পাশ্চাত্যের দেশ অথবা ইসরাইল নয়, যারা আরব-জীবনের মূল্য দেয়নি।এ আমরা আরবরাই, আমরাই মানব-জীবনের মূল্য দিইনি।যদি আমরা স্বীকার না করি আমরাই বড় সমস্যা, আমরাই প্রগতির দিকে যেতে চাইছিনা, আমরাই পরিবর্তন চাইছি না, তাহলে পরিবর্তন কোনওদিনই আসবে না, বরং র/ক্তের নদী বইতে থাকবে, এবং আমরা কোনওদিন জানবো না শান্তি কাকে বলে।
কী করে আমরা ভাবি বাইরের পৃথিবী আমাদের সম্মান করবে যখন আমরাই আমাদের সম্মান করি না? ”