প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন দুই প্রেমিক-প্রেমিকা। নতুন জীবন শুরু করার আশায় কাউকে কিছু না জানিয়েই দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করে নতুন দম্পত্য জীবনের সূচনা করেন তারা। তবে তাদের সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল। বিয়ের দিনই স্বামী পুকুর পারে পিছলে পরে গিয়ে জীবনের ইতি টানেন।
সুনামগঞ্জে পালিয়ে বিয়ে করার পর পুকুরের পানিতে ডুবে স্বামীর প্রয়ান হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রয়াত মাকসুদুর রহমান সুনামগঞ্জ পৌরসভার অর্পিননগর এলাকার মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চাতক উপজেলার পাথিভাগ গ্রামের আব্দুল মোছাব্বীবের মেয়ে তছলিমা বেগম (২০) এর সাথে মাকসুদুর রহমান জিমামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বৃহস্পতিবার সকালে তছলিমা জিমামের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে পাগলা বাজারের এক ইমামের কাছে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের পলিরাচর গ্রামের প্রয়াত মোশাহিদ আলীর ছেলে নৌকার মাঝি আমির আলীর বাড়িতে যায়। সূত্র আরও জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জিমাম আমির আলীর ছেলে আলী মারজানকে আমির আলীর প্রতিবেশী আকবর আলীর পুকুরে গোসল করতে নিয়ে যায়। গোসল সেরে ঝিমা পিছলে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। এ সময় মারজানের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুকুরের পানি খুঁজতে গিয়ে রাত ৯টার দিকে মারজানকে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর জানান, থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রেমিক-প্রেমিকার দুই যুগোল তারা বাড়ির কাউকে নিজেদের সম্পর্কের কথা না জানিয়ে নিজেরাই পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তাদের নতুন সুখের সংসার শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে বিয়ে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সুখের সংসার আর শুরু করা হলো না তাদের। বিয়ের দিনই স্বামী আলী মারজান প্রয়াত হয়েছেন।