শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। সম্প্রতি তার একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, দেশ ছাড়লেও পদত্যাগ করেননি তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমি পদত্যাগ করিনি। আর্টিকেল ৫৭ অনুযায়ী আমার পদত্যাগ করা হয়নি। নিরাপত্তার জন্যে আমাকে সরে যেতে হয়, কিন্তু আমার পদত্যাগ হয়নি।
এতে অনেকের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, পদত্যাগ না করলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি কেন বলেছিলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এবং তিনি সেটি গ্রহণ করেছেন। সেসময় তো তিন বাহিনীর প্রধানও তার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেনইবা শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয় তা নিয়ে আপিল বিভাগ রুলিং দিয়েছিলেন।
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন,রাষ্ট্রপতি যদি বলে থাকেন যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন তবে তো এ বিতর্কের অবসান হয়েই যায়। এটা জরুরি না যে প্রধানমন্ত্রীকে হাতে হাতে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে।
সিনিয়র আইনজীবী জেডআই খান পান্নার মতে, পদত্যাগ করুন বা না করুন; শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। দেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়াটা তার জন্য সম্মানের ছিলো।
তিনি আরও বলেন, আমি তার দেশত্যাগকে বুদ্ধিমানের কাজ মনে করি না। ওনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার থেকে কারাগারে বেশি দরকার ছিল। আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাকে দেশে এসে আত্মসমর্পণ করা উচিত।
দেশে কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের পদত্যাগপত্র কখনোই সামনে আসেনি। তাহলে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ দলিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এত আলোচনা কেন? এমন প্রশ্ন করেছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।