সম্প্রতি বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যার কারনে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন সমাজের মানুষ। যার ফলে সমাজে বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিবাবের অন্য সদস্যরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনায়। এমন ঘটনায় সমাজের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এবার পারিবারিক দ্বন্দ্বে জেরে স্বামীর লি/ঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জেরে আনোয়ারুল ইসলাম মনি (৪২) নামে এক ব্যক্তির পুরু/ষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার (১৯ জুন) রাতে এ ঘটনায় জড়িত মনিরের স্ত্রী রিনা (২৮)। ঘটনার পর তাকে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তার কাটা অংশে আটটি সেলাই ছিল।
মনির অভিযোগ, তার স্ত্রী রিনা তাকে কৌশলে ডেকে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
এদিকে তার স্ত্রী রিনা পাল্টা বলেন, মোহরের ৬ লাখ টাকা দেওয়ার ভয়ে মনি নিজেই নিজের লি/ঙ্গ থেকে কেটেছে। যদি আমি কাটতাম তাহলে রাগের মাথায় পুরোটাই কেটে ফেলতাম, সেখানে শুধু আটটা সেলাই পড়তো না। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার স্বামী সাবেক সেনা সদস্য ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ জন্য তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে জেল থেকে বের হয়ে আবার বিয়ে করেন। ওই ঘরে তার একটি মেয়ে আছে। এসব ঘটনা না জেনেই তাকে বিয়ে করেছি। বিয়ের পর তার অতীত জানতে পারলাম।
পরে আমি চাংমারীতে আমার স্বামীর বাড়িতে গেলে তার সাবেক স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে মারধর করে। তবুও থানায় অভিযোগ করিনি।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম লি/ঙ্গ কর্তনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী লি/ঙ্গ কর্তন করেছেন বলে অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন তার স্ত্রী। তার স্ত্রী জানান দেনমোহরের টাকা দেওয়ার ভয়ে নিজের লি/ঙ্গ কর্তন নিজেই করেন তার স্বামী।