ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নাই। পানি বন্দি হয়ে আটকে পড়েছে ওই অঞ্চলের মানুষ। জীবন ও জীবিকা হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। সংকট সৃষ্টি হয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানিসহ বহু প্রয়োজনীয় জিনিসের। এবার খাদ্যের অভাবে লজ্জা ভুলে পুলিশের কাছে সাহাস্য চেয়ে যা বললেন এক নারী।
সিলেটে বিয়ানীবাজারে বন্যায় পানিবন্দিদের অহসহায়ত্ব এখন লজ্জার কাছে হার মেনেছে। বন্যার কারণে সব হারিয়ে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে পুরো উপজেলায়। এর মধ্যে অনেকেই ত্রাণ বা সহায়তা পেয়েছেন বা নিয়েছেন। কিন্তু কিছু পরিবার লজ্জা ও আত্মসম্মান বোধের কারণে কারো কাছে সহায়তা চাইতে পারেনি।
তাদের মধ্যে এক পরিবার লজ্জা ভুলে খাবারের জন্য ফোন করা হয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে।
ফোনে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সাহায্য চাওয়া হয়। ওসি হিল্লোল রায় তাৎক্ষণিকভাবে নৌকায় করে পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দেন। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় বিয়ানীবাজার উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে আটকা পড়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে গেলেও এখনো ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত অনেক পরিবার।
শুক্রবার রাতে এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে ওই এলাকায় ছুটে যান ওসি। সেখানে খোঁজ নিয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ জানতে পারে সেখানে বেশ কিছু পরিবার খাদ্য সংকটে রয়েছে। পরে পুলিশ সেখানে ২০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে এক পানিবন্দি ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা চান। পরে রাতে নৌকায় করে ওই বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিই। বিয়ানীবাজার উপজেলার যে কেউ সাহায্যের প্রয়োজন হলে থানায় ফোন করতে পারেন। আমরা খাবার পৌঁছে দেব।
প্রসঙ্গত, বন্যায় মানুষের অবস্থা এতটায় খারাপ হয়েছে যে লজ্জাকেও হার মানিয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য বন্য কবলিত মানুষকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।