সামিনা আলম নীলা দেশে-বিদেশে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করিয়ে যেত। তার নেটওয়ার্ক ছিল সারা দেশে। মঙ্গলবার রাতে নীলাসহ তার চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এই চক্রের আরেক সদস্য চৈতিকে খুঁজছে। এই চক্রটি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ছয় হাজার নারীকে অনৈতিক কাজে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নীলার প্রধান সহযোগী সৌরভ ইসলামও রয়েছে। বাকি তিনজন হলেন তাসনিয়া বেলা, সাকিব আহমেদ ও মানসীব হায়াত।
বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশের বিনোদন স্পটে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করে আসছে। তারা ইয়াবাও সরবরাহ করে। এই চক্রটি মিথ্যা পরিচয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালায়। গ্রেপ্তার সাকিব ও পলাতক চৈতি স্বামী-স্ত্রী হয়ে ঘরবাড়ি নিয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সাকিব অভিজাত এলাকায় চলাচল করতো। তিনি নিজেকে সচিবের ছেলে পরিচয় দেন। তার গাড়িতে পতাকা লাগানো দেখা যায় এবং একজন দেহরক্ষীও রেখেছেন। কিন্তু দেখা গেছে তার বাবা লেখাপড়া জানেন না। সোনালী নামের একটি মেয়েকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন সাকিব। এসব কাজের পাশাপাশি সচিবের ছেলে পরিচয়ে প্রতারণা করেন সাকিব। তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হবে।
হারুন অর রশিদ বলেন, তারা বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে নারীদের অনৈতিক কাজের জন্য পাঠাতো। তারা কাউকে বিদেশে পাচার করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া আপত্তিকর দৃশ্য রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ের সঙ্গে জড়িত। অপরাধের জন্য তারা বেছে নিয়েছে গুলশান, বনানীর মতো মহানগরের অভিজাত এলাকা।