বাংলাদেশ জাতিয় দলে এক শেরা খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। সম্প্রতি তিনি টেস্ট ম্যাচ থেকে অবসর নিতে চান বলে যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন। তার এই পোষ্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয় এবং যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের ধোলাইয়ের শুভ উপলক্ষ নিয়ে দুঃখিত হরিশ। হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম ইকবাল। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেটের এই ছোট ফরম্যাটে জাতীয় দলের জার্সি পরেননি দেশ সেরা এই ওপেনার।
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে ৬ মাসের জন্য ছুটিতে ছিলেন তিনি। এর আগে শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেননি তিনি। মূলত, 2020 সালের মার্চের পরে, তামিম এই ফর্ম্যাটের আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রবেশ করেননি।
টেস্ট-ওয়ানের মতো ধনী না হলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের হয়ে সেঞ্চুরির একমাত্র মালিক তামিম। মনে করা হয়েছিল, চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারেন দেশের এক নম্বর ওপেনার।
কিন্তু শনিবার গভীর রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জেতার পর হঠাৎ করেই নিজের ফেসবুক পেজে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে নয়, ফেসবুক পেজে তবু অবসরের ঘোষণা দিচ্ছেন। কেউ হয়তো ভাবতে পারে এটা তার স্নেপ সিদ্ধান্ত।
এই সব ক্ষেত্রে নয়। আসলে, ফেসবুকে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার আগে, তামিম বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছিলেন এবং তাদের উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছিলেন।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে তামিমের অবসরের ঘোষণা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি জালাল। তামিমের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে নাকি? ক্রিকেট অপারেশানের প্রধান তা বলেননি। আজ বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাই আগে কিছু বলা ঠিক মনে করেননি জালাল।
বোর্ডের সিনিয়র ডিরেক্টরদের একজন, ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আজ (রোববার) সকালে এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তামিম এরই মধ্যে বোর্ড সভাপতির (নাজমুল হাসান পাপন) সঙ্গে আমাদের কথা বলেছেন। তিনি সেখানে তার ইচ্ছার কথা বলেছেন।