Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / International / পানের পিকের দাগ মুছতেই বছরে ১২শ কোটি টাকা খরচ রেলের

পানের পিকের দাগ মুছতেই বছরে ১২শ কোটি টাকা খরচ রেলের

বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল গনতান্ত্রিক দেশ গুলোর মধ্যে একটি ভারত। বর্তমান সময়ে দেশটির সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি একটানা দুই মেয়াদে দেশটির সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। এবং দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন। এমনকি দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ। এরই লক্ষ্য ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ শুরু করেছিলনে। তবে এই অভিযানে পানের পিকের দাগ মুছতেই বছরে ১২শ কোটি খরচ ভারতীয় রেলের।

অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে কয়েক বছর আগে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এতে তার দেশ কতটা স্বচ্ছ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে রেলের ক্ষেত্রে এ অভিযানের সুফল খুব একটা আসেনি, তা নিশ্চিত। ভারতের মানুষজনও সচেতন হয়নি, ‘স্বচ্ছ’ হয়নি দেশটির রেলস্টেশন বা ট্রেনের কামরাগুলো। তার জন্য প্রতি বছর হাজার কোটি রুপির বেশি গচ্চা দিতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, প্রতি বছর রেলস্টেশন ও ট্রেনের কামরাগুলো থেকে পান ও গুটখার দাগ তুলতে ভারতীয় রেলের খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২০০ কোটি রুপির বেশি। সঙ্গে গ্যালন গ্যালন পানির ব্যবহার তো রয়েছেই।

রেলস্টেশনগুলো পরিষ্কার রাখতে এরই মধ্যে জরিমানার বিধান চালু করেছে ভারত সরকার। স্টেশন চত্বরে পানের পিক ফেললেই ৫০০ রুপি জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি পানপ্রেমীদের। এ কারণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। পান বা গুটখার পিক ফেলা বন্ধ করতে স্টেশন চত্বরে ছোট প্যাকেট বিতরণ করছে তারা। জানা যায়, ‘ইজিস্পিট’ নামে পরিবেশবান্ধব ছোট আকারের এ পিকদানি সহজেই পরিবহনযোগ্য। ব্যবহারও করা যাবে একাধিকবার। ভারতীয় রেলের ৪২টি স্টেশনে পাওয়া যাবে এগুলো। দাম রাখা হচ্ছে পাঁচ থেকে ১০ রুপির মধ্যে। এখন পর্যন্ত ভারতের পশ্চিম, উত্তর ও মধ্য রেল জোনে এ পিকদানির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভারতীয় রেল কর্মকর্তাদের আশা, নতুন এ পিকদানি ব্যবহারের ফলে এবার হয়তো রেলস্টশন ও ট্রেনগুলো সত্যিই স্বচ্ছ থাকবে। পিকদানিগুলো পরিবেশবান্ধব হওয়ায় যেকোনো জায়গায় ফেললেও কোনো সমস্যা হবে না।

সহজ এবং নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম ট্রেন। এই মাধ্যমে এক সঙ্গে অনেক মানুষ যাত্রায়াত করে থাকে। তবে অধিকাংশ মানুষই অসচেতন। তবে এই সকল মানুষদের সচেতন করতে আপ্রান ভাবে কাজ করছে রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

About

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *