দীর্ঘদিন ধরেই পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। আর এরই মধ্যে গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে এক গৃহবধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় এক ছাত্রদল নেতাকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার রূপপুর ইউনিয়নের ভূয়া পাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে বইছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে এক গৃহবধূর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর স্থানীয় জনতার ক্রোধের শিকার হন তিনি। মো. মাসুদ রানা (৩২) পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও বেড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
এলাকাবাসী জানায়, কিছুদিন ধরে রূপপুর ইউনিয়নের প্রবাসী আলমাসের স্ত্রী মরিয়ম আক্তারের সাথে মাসুদ রানার পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। সোমবার দুপুরে ভূয়া পাড়ায় ওই গৃহবধুর এক পাতানো ভাইয়ের বাসা থেকে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে মাসুদ রানা উত্তেজিত জনতার ক্রোধের শিকার হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় সে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমিনপুর থানায় নিয়ে যায়।
আমিনপুর থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়, নারীকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপর রাত ৯ টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় দুজনকেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। একই সঙ্গে ছাত্রদল নেতা মো. মাসুদ রানাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিও করেছেন তারা। জানা গেছে, এ ব্যাপারে আলোচনা করছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে এ বিষয়টি রীতিমতো খুতিয়ে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই মুহুর্তে থানায় হেফাজতে রয়েছেন তিনি।