বর্তমানে বাংলাদেশে একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে টক অব দা টাউন। আর তা হলো নতুন বছরের পাঠ্য পুস্তকের ভুল। আর এই ভুল নিয়ে এখন শুরু হয়েছে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। এ নিয়ে এবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক মাহবুব মোর্শেদ। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
বাচ্চাদের বই যারা সম্পাদনা করেছেন, লিখেছেন তারা অনেকেই শিক্ষাবিদ নামে পরিচিত। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাক্রম নিয়ে তারা নানা কথা বলেছেন। শিক্ষাক্রম নিয়ে লেখালেখি করেছেন। বাচ্চাদের পাঠ্যবই যে সিরিয়াস ব্যাপার সেটা এই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের না জানার কথা নয়।
তাদের জানা ছিল যে, বাচ্চাদের বইয়ের প্রতিটি শব্দ প্রতিটি বাক্য সচেতনভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে লিখতে হয়। কিন্তু বিভিন্ন শ্রেণীর বইগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, এগুলো বিশেষ কোনো যত্ন নিয়ে লেখা হয়নি। লেখকরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি, সম্পাদকরা দায়িত্ব পালন করেননি। এই বইগুলোতে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। নকল করা হয়েছে।
অসংখ্য ভুল করা হয়েছে। এই অবস্থায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকাশিত বই বাচ্চাদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। পাঠ্য বইয়ের ভুলগুলো সাধারণ ভুল নয়। শুধু দায় স্বীকার করে সরকারি অর্থের বিপুল অপচয় ও শিক্ষার্থীদের ভুল শেখানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব নয়। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আবুল মোমেনসহ যে ব্যক্তিরা পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা।
শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো ভুল পাঠ্যবই প্রত্যাহার করে নতুন করে সেগুলোর কাজ শুরু করা। এবং জনগণের অর্থের যে বিপুল অপচয় হলো সেটা এই কাজে জড়িতদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া। জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান যে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন সেটা পত্রিকায় লেখা তাদের কোনো কলামের ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া যেত, কিন্তু পাঠ্য বইয়ের বেলায় এই আত্মপক্ষ সমর্থন কোনো কাজে আসবে না। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাদের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য মাতবরির পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা।
প্রসঙ্গত, এ দিকে জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে এই ভুলের কথা করেছেন শিকার। তবে এ বিষয় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা জানানো হয়নি এখনো। কিন্তু বিষয়টি যে শিক্ষা ব্যবস্থাতে অনেক বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।