Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পাঠ্যবইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে চাকরিচ্যুতি, যা বলল ব্র্যাক

পাঠ্যবইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে চাকরিচ্যুতি, যা বলল ব্র্যাক

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরিফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলে চাকরি হারানো ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন দর্শন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের বিষয়ে নোটিশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মাহতাব আসিফের কোনো চুক্তি নেই।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ শাখার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।

গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান পাঠ্যক্রমের নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রতিবাদ জানান। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এই সেমিনারের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরিফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা এবং ওই দিনের অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব দাবি করেন, এ ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে নেই।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আসিফ মাহতাব গল্পের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। গল্পের কোথাও হিজড়া শব্দটি লেখা নেই, লেখা হয়েছে থার্ড জেন্ডার। এই গল্পের মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) হিসেবে পরিচিত মানুষদের কাছে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা সৃষ্টির বৈচিত্র্য, এটা অস্বীকার করা যায় না।

 

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *