জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের পরিমার্জনকৃত পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুরুতে কিছু কাজ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হলেও, সমালোচনার পর দেশীয় ছাপাখানাগুলোকেই সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, বই ছাপার ১৮টি স্লটে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্ত ছিল, যা পরে বাতিল করে নতুন দরপত্রের মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই মুদ্রণের জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে, এবং বাকিগুলোর কাজও পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই প্রস্তুত হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার জন্য এনসিটিবি সচেষ্ট রয়েছে। ছাপাখানাগুলোকেও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বই সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাস্তবায়নে পিছিয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর করা হবে। এর আগেই ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই পরিমার্জন করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।
এনসিটিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর ১ কোটি ৮৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২৩ কোটি কপি বই মুদ্রণ হচ্ছে। মে-জুনে প্রুফ রিডিংয়ের কথা থাকলেও, সেপ্টেম্বরে সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ায় জানুয়ারিতে বই পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে এনসিটিবি কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী, নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে।