বাংলাদেশ ব্রম্যান সময়ে ভুগছে অনেক বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে। আর এই সময়ে সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে যারা দেশের ঋণ খেলাপি তাদের পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে এটা কি আদৌ সম্ভব। সম্প্রতি মাহবুব মোর্শেদ এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবুহু:-
খেলাপি ঋণের বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। পাচার হওয়া অর্থ কখনোই ফেরত আসবে না। পাচার হওয়া অর্থে বিদেশে বাড়ি কিনেছে পাচারকারীরা। সম্পত্তি কিনেছে। পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে অনেকেই এখন ওই সব দেশে আসা-যাওয়া করছে। একটা পর্যায়ে তারাও চলে যাবে। বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট তার নেপথ্যে রয়েছে খেলাপি ঋণ ও দুর্নীতির অর্থ বিদেশে পাচার বেড়ে যাওয়া।
দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণের অর্থ পাচার বেড়েছে বলে এখন বৈধপথে প্রবাসী আয়ও কমছে। খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। রিজার্ভ দ্রুত কমছে। এখনই খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি ও হুন্ডি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া না হলে আগামী এক বছরে দেশ চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে।
খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য যে প্রকাশ করা হচ্ছে না তা বহুবার বলেছি। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার যে হিসাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তা মোটেও সঠিক নয়। অবলোপন করা ঋণ, আদালতে মামলা চলছে এমন ঋণ এবং বারবার পুনঃ তফসিল করা ঋণের হিসাব খেলাপি ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। সব মিলিয়ে দেখলে বর্তমানে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি হবে।
প্রসঙ্গত, দেশ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় লক্ষ কোটি টাকার বেশি বাঁচার হয়ে গেছে বিদেশে। আর এই পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে দেশের অনেক ঋণ খেলাপীরাও। আর এই কারনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থ্যা অনেক বেশি টান ধরেছে এখন। সরকার থেকে এই পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার তাগিদ দেয়া হলেও আদৌ তা হবে কি না তা সময় বলে দিবে বলে অনেকের ধারণা।