দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টিকে প্রথমে ধরা হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার রোধে সরকার অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। তবে এরই মাঝেও অর্থ পাচার রোধ করতে পারছে না সরকার। যে সময়ে অর্থ পাচার রোধে সরকার কঠোর হচ্ছে, ঠিক সেই সময় একই রকম একটি কান্ড ঘটলো যশোর বিমানবন্দরে। নগদ ২৫ লাখ টাকা পাচারের সময় এক সরকারী কর্মকর্তা হাতেনাতে ধরা খেল গোয়েন্দা সংস্থার নিকট।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে ২৫ লাখ টাকাসহ বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার নাম খন্দকার মুকুল হোসেন।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। এ সময় তার কাছে নগদ ২৫ লাখ টাকা ছিল। টাকাগুলো একটি ব্যাগে ভর্তি অবস্থায় ছিল। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা তাদের হেফাজতে নেয়।
গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া বেনাপোল কাস্টমস অফিসে কর্মরত একজন কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মুকুল হোসেনকে কত টাকাসহ আটক করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
সূত্র জানায়, আজ সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছান মুকুল হোসেন। সেখান থেকে একটি ফ্লাইটে তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আগেই মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য পেয়ে বিমানবন্দরে অবস্থান করে। মুকুল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে ২৫ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুলকে ঢাকায় আনা হয়। তাকে ঢাকায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রটি এই ঘটনার বিষয়ে আরো জানিয়েছে, ঢাকায় নিয়ে মুকুলকে টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর মুকুলকে সেখান থেকে যশোরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে আজ রাতের দিকে বেনাপোল নেয়ার কথা রয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল হোসেনের নিজস্ব বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার একটি এলাকায়।