কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়নাও পাওয়া গিয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের নয়টি দান বাক্স খোলা হয়। এখন গণনা চলছে। এতে প্রায় ২০০ জনের একটি দল অংশ নেয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। এরপর রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জ শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। নগরীর পশ্চিমে হারুয়া এলাসময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। এখানে একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। মূল মসজিদ ভবন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স। এই মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় দিয়ে বিভিন্ন সেবা খাতে সাহায্য করা হয়।