প্রতিমন্ত্রী মো. শামসুল আলম বলেন, কয়েক বছর আগে ভারতীয় সংসদে সু’ষমা স্বরাজ বলেছিলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়েছে। আগে ছিল ২ শতাংশ। এখন তা ১০ শতাংশ। এটার মানে কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে বসবাস করতে পারবে। সুষমা স্বরাজের মতে, হিন্দুত্ব বেড়েছে। বাংলাদেশ এখন সবার জন্য নিরাপদ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শামসুল আলম বলেন, পাকিস্তানিরাও তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে চায়। শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাস এবং পরিচালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সাহা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সুষমা স্বরাজ কয়েক বছর আগে ভারতীয় সংসদে বলেছিলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়েছে। আগে ছিল ২ শতাংশ। এখন তা ১০ শতাংশ। বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল জাতি এখন বসবাসের জন্য নিরাপদ।
একজন পাকিস্তানি সংসদ সদস্য বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে নিয়ে আসুন। শেখ হাসিনা এসে পাকিস্থানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দিয়ে যাক এটাই আমাদের চাওয়া। এর মানে কী? সেই পাকি বাঙালিরা এখনো পাকিস্তানি সংস্কৃতি নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা চায় শেখ হাসিনা সেখানে প্রধানমন্ত্রী হন। তাদের পরিবর্তন করা যায়। আপনা আর কি চান? আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। কারণ নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের উপায়। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই জিতবে। তবে এ সময় মন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের অবদানে জনগণ অবশ্যই শেখ হাসিনা সরকারকে আবারো ভোট দেবে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শিক্ষার হার সবচেয়ে বেশি, আয়ু সর্বোচ্চ, মাতৃপ্রয়ান হার সবচেয়ে কম এবং শিশুপ্রয়ান হার সবচেয়ে কম। এ সময় রথযাত্রার প্রশংসা করেন ড. শামসুল আলম বলেন, এটি একটি স্মরণীয় উপলক্ষ। আজকের অনুষ্ঠানটি আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। মসৃণভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারা।
উল্লেখ্য, উক্ত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ ধামরাইয়ে কিছু উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দের দাবি জানান। দাবি পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ঢাকার ডেপুটি কমিশনার ড. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার, ধামরাই পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লাসহ আরও অনেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।