পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। হয়তো এই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। নওয়াজ শরিফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টো আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন এই শর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে জোট সরকার গঠনে রাজি হয়েছে পিপিপি।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে জোট সরকার গঠনের প্রয়াসে রোববার দুই দলের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তবে কে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হবেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) একই পদ্ধতিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল। সে সময় দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ ভাগাভাগি করেন।
লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে রবিবারের বৈঠকে, পিপিপি-পিএমএলএন উভয় দলই সাধারণ নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন।
অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, বৈঠকে পিএমএল-এন আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিপিকে জোট সরকারের অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ সময় নওয়াজ শরিফের দল পিপিপিকে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী এবং এমকিউএম-পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও জানায়।
বৈঠকের শুরুতে পিএমএল-এন নেতারা দাবি করেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখবেন। অন্যদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি দাবি করেছেন যে পিপিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (সিইসি) ইতিমধ্যেই বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে।
এরপর দুই দলের নেতারা পাঁচ বছরের মেয়াদ অর্ধেক করে নিজ নিজ দল থেকে একজন করে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে সম্মত হন।