পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো একক দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাইঘাম খান বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে দুটি সম্ভাব্য উপায়ে সরকার গঠন করা যেতে পারে। আল-জাজিরার খবর
জাইঘাম খান কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন যে, সরকার গঠনের প্রথম উপায় হল পিটিআইকে বাদ দিয়ে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), এমকিউএম, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্যরা জোট গঠন করতে পারে।
এই বিশ্লেষক বলেন, দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে পিপিপি ও পিটিআইয়ের জোট সরকার। তবে সম্ভাবনা কম। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পিপিপিকে সমর্থন করলে এটা সম্ভব।
জাইঘাম খান আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তাই যেই সরকার গঠন করুক, জনগণ তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারবে না।
এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন যে জোট গঠনের বিষয়ে পিপিপি, পিএমএল-এন, পিটিআই বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তার বাবা আসিফ আলি জারদারির কোনো বৈঠক হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিলাওয়াল বলেন, এ ধরনের কোনো বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করার মতো অবস্থানে আমি নেই। সব ফলাফল যখন আমাদের সামনে আসবে, তখন আমরা অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চিন্তা করব।
বিলাওয়াল আরও স্পষ্ট করেছেন যে পিটিআই ব্লকের কোনও স্বতন্ত্র প্রার্থী এখনও পর্যন্ত তাঁর বা কোনও পিপিপি নেতার সাথে যোগাযোগ করেননি।
কিংস কলেজ লন্ডনের সিনিয়র ফেলো আয়েশা সিদ্দিকা বলেছেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর নেতৃত্বে একটি দুর্বল জোট গঠনের আশা করছে। তবে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, শাহবাজ শরিফ নাকি নওয়াজ শরিফের মধ্যে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।