সুসময়ের বন্ধু হয়ে অনেকেই ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নেতার চারপাশ থেকে সবসময় সমর্থনের খই ফুটিয়েছে। পরম আপনজন সাজে দুনিয়ার সামনে। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি হওয়ার পর সেই পরিচিত মুখগুলো একে একে নানা ছুতোয় হাত ছেড়েছে। একাকী করে দিয়েছিলেন তাকে। তবে জনগণের শক্তিতে সেই জেলে থাকা ইমরান অবশেষে নির্বাচনের মাঠে সবচেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান। অন্ধকার কুঠরী থেকে নিঃশব্দেই প্রতারকদের দিয়েছেন কড়া জবাব। বিজয়ী ইমরানকে ছেড়ে আসা সেই ‘মীরজাফদের’ এখন মাথায় হাত। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর।
গত বছরের ৯ মে সারা দেশে জাতীয় নিরাপত্তা স্থাপনায় হামলার পর পিটিআই রাজ্যের ক্রোধের মুখোমুখি হয়েছিল। দলকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরাতে নানা কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছিল। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এমন কঠিন সময়ে অনেক কাছের মানুষ খানের প্রতি আনুগত্য হারিয়েছিলেন। অনেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম চালিয়েছেন। কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে দল গঠন করে। অন্যদের সেই দলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রলোভিত করে। কেননা তারা ধরেই নিয়েছিল- ইমরান শেষ! খানকে ছেড়ে যাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন খাইবার-পাখতুনখোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাট্টক। আরেকজন ছিলেন খানের অতি কাছের জাহাঙ্গীর তারিন। পরবর্তী সময়ে পিটিআই ত্যাগকারীদের প্ররোচিত করার উদ্দেশ্যে তিনি ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) তৈরি করেছিলেন। তবে নির্বাচনে উভয় দলই অপমানজনক পরাজয় বরণ করে।
প্রচারের সময় খট্টক দাবি করেছিলেন যে, তিনি কেপির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তবে খট্টকের দুই ছেলে ও এক জামাই নওশেরার সাতটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একটিতেও জিততে পারেননি। অন্যদিকে তারিনের অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। তিনি দাবি করেন যে তার দল, আইপিপি পার্টি, পিএমএল-এন-এর সাথে একটি চুক্তি হয়েছে। ফলাফলের পর তারা কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে একসঙ্গে সরকার গঠন করবে। তার দল আইপিপি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১২টি আসনে এবং পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে ৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু ফলাফল দেখায় যে, তারা লাহোর থেকে জাতীয় পরিষদে মাত্র দুটি আসন সংগ্রহ করতে পেরেছে। জয় নিয়ে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগও রয়েছে। ফলাফল শেষে অপমানের তীর এখন তাদের ওপর।