পাকিস্তানের সবার দৃষ্টি এখন নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। নির্বাচনে পিএমএল-এন প্রার্থীদের চেয়ে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিপিপি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এই নির্বাচনে ঐতিহাসিক সরকার কীভাবে গঠিত হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের কথা তুলে ধরেছে।
শেহবাজ শরিফ: মরিয়মের চাচা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ লাহোর থেকে এনএ-১২৩ আসনে ৬৩ হাজার ৯৫৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। পিটিআই-সমর্থিত আফজাল আজিম পাহাত ৪৮ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে হেরেছেন।
শেহবাজ লাহোরের পিপি-১৫৮ আসনেও ৩৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে জিতেছেন। এই আসনে পিটিআই সমর্থিত ইউসুফ আলী ২৩ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
মরিয়ম নওয়াজ: লাহোরের এনএ-১১৯-এ জয়ী হয়েছেন। পিএমএল-এন নেতা মরিয়ম নওয়াজ ৮৩ হাজার ৮৫৫ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে পিটিআই-সমর্থিত শেহজাদ ফারুক ৬৮ হাজার ৩৭৬ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
নওয়াজ শরিফ: চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পিএমএল-এন নেতা মানসেরার এনএ-১৫ আসনে হেরেছেন। তিনি ৮০ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে পিটিআই-সমর্থিত শাহজাদা মোহাম্মদ গুস্তাসিফ খান এক লাখ পাঁচ হাজার ২৪৯ ভোট নিয়ে জয় পেয়েছেন। তবে নওয়াজ শরিফ অপর একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।
বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি: কাম্বার শাহদকোটের এনএ-১৯৬ আসনে জয়ী হয়েছেন পিপিপির নেতা। তিনি ৮৫ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে জেইউআই-পি’র নাসির মেহমুদ ৩৪ হাজার ৪৪৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তবে লাহোরে অপর একটি আসনে হেরে গেছেন তিনি।
হামজা শেহবাজ: এনএ-১১৮ আসনে পিএমএল-এন-এর হামজা শেহবাজ জয় পেয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৬০টি। এদিকে পিটিআই-সমর্থিত আলিয়া হামজা মালিক এক লাখ ৮০৩ ভোট পেয়ে হেরেছেন।
আসিফ আলি জারদারি: শহিদ বেনাজিরাবাদে এনএ-২০৭ আসনে সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়লাভ করেছেন। তিনি এক লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে পিটিআই সমর্থিত নেতা সর্দার শের মুহাম্মদ রিন্দ বেলুচ ৫১ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
আসাদ কায়সার: সোয়াবিতে এনএ-১৯ আসনে জয়ী হয়েছেন সাবেক জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও পিটিআইয়ের সদস্য আসাদ কায়সার। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৬৩৫টি। আর জেইউআই-এফ-এর ফজল আলী ৪৫ হাজার ৫৬৭ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
গোহর আলী খান: বুনেরের এনএ-১০ আসনে পিটিআই নেতা জয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ১০ হাজার ২৩ ভোট পেয়েছেন। এএনপির আবদুল রউফ ৩০ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
আখতার মেনগাল: বেলুচিস্তানে এনএ-২৬১ আসনে জয় পেয়েছেন বেলুচিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তিন হাজার ৪০৪ ভোট পেয়েছেন। তার বিপরীতে দুই হাজার ৮৭১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পিপিপির নেতা সর্দার সানাউল্লাহ জেহরি।
পারভেজ খট্টাক: নওশেরায় এনএ-৩৩ আসনে ৬৬ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন পিটিআই-এর সাবেক কেপি প্রধান। তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৬ হাজার ৫৭৪টি। অপর দিকে, পিটিআই সমর্থিত সৈয়দ শাহ আলি শাহ ৯৩ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে জিতেছেন।
আব্দুল হাকিম বালুচ: করাচিতে এনএ-২৩১ আসনে ৪৩ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন পিপিপির নেতা আব্দুল হাকিম বালুচ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী খুব কাছাকাছি ৪৩ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে হেরেছেন।