পারভেজ মোশারফ হলেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সেনাপ্রধান। তিনি ২০০০ সালের পূর্বেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন। তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করে গেছেন। সম্প্রতি জানা গেছে পাকিস্তানের এই সাবেক রাষ্ট্রপতি খুবই অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থার অনেক অবনতি ঘটেছে।
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তারা জানান, তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর তিনি এখন বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবর ডন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সাবেক জেনারেলের প্রয়ানের গুজব। পাকিস্তান ও ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। পরে মোশাররফের পরিবার অভিযোগ অস্বীকার করে।
তার পরিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, “তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়নি। শারীরিক জটিলতার কারণে গত তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এই সংকট থেকে সেরে ওঠা খুবই কঠিন। তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না।’
সাবেক সামরিক শাসক চিকিৎসার জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান
যাওয়া. তিনি আর পাকিস্তানে ফিরে যাননি। মোশাররফ বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছেন। তবে তার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ গতকাল বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই।
তার দলের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বাড়িতে অ্যামাইলয়েডোসিসের চিকিত্সা নিচ্ছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
মোশাররফের অসুস্থতার কথা ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে আসে যখন পার্টি জানায় যে তিনি একটি বিরল অ্যামাইলয়েডোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগের ফলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষে ‘অ্যামাইলয়েড’ নামে এক ধরনের অস্বাভাবিক প্রোটিন তৈরি হয়।
ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষগুলো স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর সংবিধান স্থগিত করায় ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ অভিযুক্ত করা হয় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেওয়া মোশাররফকে। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে মৃত্যুদ- দেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত।
উল্লেখ্য, পারভেজ মোশারফ যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি খুব আলোচিত একজন ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। মূলত সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় অভিষিক্ত হয়েছিলেন। ক্ষমতা ছাড়ার পর পাকিস্তানের অনেক সরকার বদল হয়েছে এই পর্যন্ত।