মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতা।
আবেদনকারীদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি বাইডেনের নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন।
তাদের দাবি, পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের উচিত হবে না ফলাফল মেনে নেওয়া।
নির্বাচনের পরদিন শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানে নির্বাচনী হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।
প্রভাবশালী ইউএস হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সিনিয়র সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান বলেছেন যে পাকিস্তানের মিডিয়াকে নির্দ্বিধায় ভোটের ফলাফল জানাতে সক্ষম হওয়া উচিত এবং ফলাফল ঘোষণায় অযথা বিলম্ব করা উচিত নয়।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা রাশিদা তালাইব বলেন, আমাদের অবশ্যই পাকিস্তানি জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ তাদের গণতন্ত্র মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের ট্যাক্সের অর্থ এমন কারও কাছে যাবে না, যাতে এর অবমূল্যায়ন হয়।
মার্কিন আইনপ্রণেতা ডিনা টিটাস পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি।
একইভাবে, আইনপ্রণেতা ইলহাসান ওমর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের “বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত” না হওয়া পর্যন্ত ফলাফলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আইনপ্রণেতা গ্রেগ ক্যাসার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মতো আমিও পাকিস্তানে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করছি। ফলাফলগুলি স্বীকৃতি দেওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন তদন্ত রয়েছে। আমাদের গণতন্ত্র ও জনগণের ইচ্ছাকে রক্ষা করতে হবে।