Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের লজ্জা পাওয়া উচিৎ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের লজ্জা পাওয়া উচিৎ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ( Sheikh Mujibur Rahman ) প্রায় দুই দশকের নিরন্তর সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এদেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে শেষ করে দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃ’/শংস হ’/ত্যাযজ্ঞ চালায়। বঙ্গবন্ধুকে ২৬শে মার্চ ভোররাতে ( March dawn ) পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ( Army ) গ্রেফতার করে। এর আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাই ২৬শে মার্চ জাতির জন্য একটি অনন্য দিন। পাকিস্তান বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ( Pakistan belongs Bangladesh ) উপর এই বর্ব”রতার নিন্দা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পাকিস্তান এখনো একাত্তরের গণহ’/ত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি। ঘটনার জন্য ক্ষমা না চাওয়ায় পাকিস্তানের লজ্জিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার ( Saturday ) (২৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস ( Foreign Service ) একাডেমিতে গনমাধ্যেমকে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ ( Masood bin Momen ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গনমাধ্যেম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন ( Dr. Momen ) বলেন, যদিও পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি, তবে সেখানকার তরুণ প্রজন্ম তা চাইতে পারে। তবে গণহ’/ত্যার জন্য ক্ষমা না চাওয়াটা অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে ২৫শে মার্চকে গণহ’/ত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি।” তবে আমরা জাতিসংঘের কাছে গণহ’/ত্যা দিবসকে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। রুয়ান্ডা, আর্মেনিয়া এবং কম্বোডিয়াও আবেদন করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ৯ ডিসেম্বর ( December ) আন্তর্জাতিকভাবে গণহ’/ত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃত।

উল্লেখ্য, আজ ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের ( Bangladesh ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে হাজার বছরের পরাধী’নতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালির জন্য একটি নতুন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশ’স্ত্র সংগ্রাম শুরু করে এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ। আজ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

About Syful Islam

Check Also

অবশেষে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *