পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসানের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষই একমত হন যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং বহিঃশক্তির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্কের দৃঢ়তা অব্যাহত থাকবে। আইএসপিআরের বিবৃতি অনুসারে, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা বিষয়ক আদান-প্রদান এবং অংশীদারিত্বের প্রসার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির উল্লেখ করেন, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একইসঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কার্যকর হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতে সম্পর্ক গভীরতর করার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর সহযোগিতার আশা করা হচ্ছে, যা দুই দেশের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হলেও, বিষয়টি নিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের মধ্যে এই বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কীভাবে এ সম্পর্ক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কূটনীতিতে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিশ্লেষণ।
দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে বহিঃশক্তির প্রতিক্রিয়া কী হবে? ভবিষ্যতে এই জোট কী ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে? এখন শুধু সেটাই দেখার বিষয়।