ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তান ক্রিকেটের একজন আইকন। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়লাভ করা এই পেসার কখনও সময় করতে পারলে তার দেশের নতুন যেসব পেসার রয়েছেন তাদেরকে বোলিং বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। তবে মাঝে মাঝে আইপিএল সহ ফ্র্যাঞ্চাইজি টি -টোয়েন্টি লিগের কোচ হিসেবে নিয়োজিত হলেও আকরাম তার নিজের দেশের জাতীয় দলের কোচ হতে চান না। তিনি একটি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তার কারনও জনিয়ে দেন।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন, ‘কোচ হলে দলকে বছরে অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ দিন সময় দিতে হবে। আমি মনে করি না এত বেশি সময় দিতে পারব। আমার পরিবারও তো আছে। তাছাড়া পিএসএলে আমি অধিকাংশ পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমি সময় কাটিয়েছি। তাদের কাছে আমার ফোন নাম্বার আছে এবং তারা সবসময় আমাদের কাছে পরামর্শ নেয়।’
আকরাম আরো বলেন, ‘আমি বোকা নই। আমি সোশ্যাল মিডিয়া দেখি-শুনি লোকেরা তাদের কোচ ও সিনিয়রদের সঙ্গে কেমন দুর্ব্য’বহার করে। কোচ তো খেলে না, খেলে খেলোয়াড়রা। কোচ কেবল পরিকল্পনা দিয়ে সহায়তা করে। যদি দল হারে, আমি মনে করি না কোচের দায় আছে কিংবা তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমি তাই ভী’ত কারণ আমার সঙ্গে কারও দুর্ব্যবহার আমি সহ্য করতে পারি না।’
উল্লেখ্য, ওয়াসিম আকরাম একজন পাকিস্তানি ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার, কোচ, এবং সাবেক ক্রিকেটার এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। তিনি একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার যিনি দূর্দান্ত গতিতে বোলিং করতে পারতেন, তিনি “কিং অফ রিভার্স সুইং” নামে পরিচিত। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ওয়াসিম আকরামই একমাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটার যিনি উইজডেন ক্রিকেটারদের অ্যালমান্যাকের ১৫০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে সর্বকালের টেস্ট বিশ্ব একাদশে নাম লেখান।