Tuesday , December 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পাওয়া গেল নতুন খনির সন্ধান, বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি

পাওয়া গেল নতুন খনির সন্ধান, বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি

সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে জাগানিয়া অঞ্চল এখন ভোলা, যেটা দেশের জ্বালানি খাতের অপার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। দেশে বর্তমানে মজুদকৃত ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ১৫ শতাংশের বেশি দ্বীপ জেলার তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে অবস্থিত।

সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে দ্বীপ জেলায় ৯টি নতুন কূপ খননের লক্ষ্য রাখে। এ জন্য বাপেক্স একটি নতুন কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, শুধু ভূমি থেকে নয়, পানি থেকেও জ্বালানি সম্পদ পেতে জরিপ চালানো হবে।

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, ভোলায় এ ধরনের আরও জ্বালানি সম্পদের আধার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় সারাদেশে জ্বালানি চাহিদা মেটানোর কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনুসন্ধান কার্যক্রম অগ্রাধিকার পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে তাই ভোলায় অন্তত ৯টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি বিভাগ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি এগিয়ে গেলে, ভোলায় দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ৫ বছরের মধ্যে ৩৬০ মিলিয়ন ঘনফুটে পৌঁছাতে পারে, যা বর্তমান স্তরের দ্বিগুণ।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানির নতুন মজুদ অনুসন্ধানে চরফ্যাশন, মনপুরা, জাহাজমারা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার ত্রিমাত্রিক জরিপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাছাড়া ভোলা অঞ্চলে শুধু স্থলেই নয়, জলেও জ্বালানি খোঁজার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

ভোলাকে ঘিরে জ্বালানি বিভাগের নতুন কর্মপরিকল্পনাকে ইতিবাচক ও যৌক্তিক হিসেবে দেখছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম। তবে একই সঙ্গে অতীতের নানা উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার উদাহরণ টেনে পরামর্শ দিচ্ছেন, বাস্তবতায় যেন গতিশীলতা থাকে।

একই সঙ্গে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পাইপলাইন নির্মাণ প্রক্রিয়া যেন আমলাতন্ত্রের লাল ফিতায় আটকে না যায়, সে দিকেও সতর্ক করছেন তিনি।

পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০০ মিলিয়ন বা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ২৫৫০ মিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ঘনফুট।

পেট্রোবাংলাসহ জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গ্যাস সংকটের কারণে ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এটিই দেশের সর্বনিম্ন গ্যাস সরবরাহ। এই সরবরাহ ২০২১ সালের শেষ ছয় মাসের গড় সরবরাহের চেয়ে কম। সে সময় ডলারের অভাবে স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ ছিল। এলএনজির দাম তখন আকাশচুম্বী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিন আনুমানিক ৩০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলেও বড় ধরনের সংকট হতো না।

About bisso Jit

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *