বর্তমানে দ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াতের ক্ষেত্রে আকাশ পথের বিকল্প দেখছেন না যাত্রীরা। তবে মাঝে মধ্যেই নানা কারনে সেই আকাশ ঘটে থাকে নানা দুর্ঘটনা। কখনো যান্ত্রীক ত্রুটি, আবার কখনো অপ্রত্যাশিত ঘটনার শিকার হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সবাইকে। তবে অন্যদিকে আবার উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে বিমানকে রক্ষা করে প্রশংসিত হয়েছেন অনেক বৈমানিক। আর সেই ধারাবাহিতায় সম্প্রতি আবারও এমনি একটি ঘটনা ঘটতে দেখা গেল।
পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধি ও চূড়ান্ত তৎপরতার কারণে মাঝ আকাশে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দুটি বিমান।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া বুধবার (১৫ জুন) এ খবর দিয়েছে।
গত সোমবার (১৩ জুন) ৩৫,০০০ ফুট উচ্চতায় মাঝ আকাশে মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান। তখন বিমান দুটির মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র ১৫ মাইল।
এ অবস্থায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানটিকে দুই হাজার ফুট নিচে নামিয়ে আনেন শ্রীলঙ্কার বিমানের পাইলট। ফলে আকাশে দুটি বিমানের সংঘর্ষ এড়ানো যাবে। প্রাণে বেঁচে যান পাঁচ শতাধিক যাত্রী।
ইউএল-৫০৪ সোমবার ইংল্যান্ডের হিথ্রো থেকে ২৭৫ জন যাত্রী নিয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে উড়েছিল। তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশ করার সময় বিমানটি ৩৩,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। আঙ্কারার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল শ্রীলঙ্কার বিমানটিকে ৩৫,০০০ ফুট উপরে উঠতে বলেছিল।
এদিকে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে ৩৫,০০০ ফুট উচ্চতায় আসছিল। দুটি বিমানের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র ১৫ মাইল। এটিসি ক্রমাগত শ্রীলঙ্কার বিমানকে ৩৫,০০০ ফুট উপরে উঠতে নির্দেশ দিচ্ছে।
এ সময় ককপিটে বসে থাকা শ্রীলঙ্কার বিমানের পাইলট বুঝতে পারেন তিনি এটিসি-র নির্দেশ মেনে চললে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাই ইউএল-৫০৪-এর নির্দেশ অমান্য করে ৩৩,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে শুরু করে। এতে ভয়ানক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
তবে এ যাত্রায় পাইলটের বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেলেও বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বিমানে অবস্থানরত প্রায় সকল যাত্রীরা।