রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন সরকারের পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি তারা। তবে পাঁচজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনই ছিল প্রধান আলোচনার বিষয় বলে জানা গেছে।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি চলমান কোটা আন্দোলন ও শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
তাদের দুজনের সঙ্গে অফিস কক্ষে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনেই বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা কার্যালয় ত্যাগ করেন। প্রথমে বেরিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তবে তারাও স্পষ্ট মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে নাকি? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি বা দুটি নির্দিষ্ট জিনিস সম্পর্কে না সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো এই মুহূর্তে মিডিয়ার সাথে আলোচনা করার মতো বিষয় নয়।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিষয়টি নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করব না, এটা আদালতের বিষয়।আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।