মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদরের একটি অংশ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) গায়িকা মমতাজ বেগমও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ এবং আয় উভয়ই বেড়েছে, কিন্তু তার নগদ প্রবাহ হয়নি। কোটি টাকা মূল্যের ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি রয়েছে। এদিকে তিনি ভারতে দুটি ফৌজদারি মামলার আসামি।
মমতাজ বেগমের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মমতাজের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা। বর্তমানে তার আয় দেখানো হয়েছে ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে তার পেশা থেকে আয় ৭ লাখ টাকা, কৃষি খাত থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া বাবদ ১০ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৭ টাকা। এর বাইরে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯১ টাকা।
২০১৪ সালে মমতাজের আয় দেখিয়েছেন ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ৭০ হাজার, ব্যবসায় ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৩, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৩০ লাখ, বেসরকারি পেশা থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার এবং অন্যান্য খাতে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৮১ জন।
আবার ২০১৮ সালে, মমতাজের অকৃষি ছিল ১ ,২০০ শতাংশ। ২০২৩ সালে, এটি ৫০০ শতাংশে নেমে আসবে। ২০১৪ সালের হলফনামায় অকৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৫ কাঠা, যার মূল্য ছিল ৫ কোটি টাকা।
এদিকে গত পাঁচ বছরে মমতাজের ঋণের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৫২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। বর্তমানে তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। মমতাজের বিরুদ্ধে দেশে কোনও মামলা না থাকলেও বহরমপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টে মমতাজের বিরুদ্ধে প্রতারণার দুটি মামলা রয়েছে।