সম্প্রতি বান্ধবী বাসা থেকে বিশ কোটি টাকা পাওয়ার পর থেকে আলোচনায় আসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসে রাজ্যর অন্য নেতারা। তাকে গ্রেফতার পর বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। বান্ধবী অর্পিতাকে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একের পর এক অভিযান চালায় ইডি। এবার এমন ঘটনায় জড়িত সন্দহে আরকে বান্ধবীর দিকে নজর ইডির প্রসঙ্গে যা জানাগেল।
শান্তিনিকেতনের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোনালিসা দাস এখন ইডি-র স্ক্যানারে। ইডি সন্দেহ করে, অর্পিতা মুখার্জির মতোই, বাংলার এই শিক্ষককে এসএসসি এবং টিইটি দুর্নীতির টাকা মজুত ব্যবহার করা হয়েছিল এবং অর্পিতার মতোই তিনি পার্থ বাবুর নির্দেশে এটি করেছিলেন। শান্তিনিকেতন এবং বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই মোনালিসা দাসের নামে বেশ কিছু বাড়ি ও সম্পত্তি খুঁজে পেয়েছে ইডি। শুধু চাকরির সুবাদে একজন অধ্যাপিকা কীভাবে এত সম্পদের মালিক হতে পারেন তা নিয়ে ইডি সন্দিহান। পার্থবাবু প্রায়ই শান্তিনিকেতনে আসতেন। দুই বাড়িতে থাকতেন। একটির নাম-তিতলি, অন্যটির নাম-লাবণ্য। এই দুটি বাড়ির মালিকানা নিয়েও তদন্ত করছে ইডি।
মোনালিসা দাস বিচ্ছিন্না। তার দাদা মানস দাস।
বোনের নাম ইডির স্ক্যানারে ওঠায় বলেছেন, আমার মায়ের নামে একটি বাড়ি আছে কলকাতায়। ওই বাড়িতে বোন মাঝে মাঝে ওঠে। এর বেশি তিনি জানেন না। শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার সুবাদে পার্থবাবু বোনের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ ছিল। ব্যাস, ওই পর্যন্তই। মানস বাবু জানান, পার্থ বাবু মাঝেমধ্যে শান্তিনিকেতনে যেতেন এমন কথা তার জানা ছিল না। মোনালিসা দাস টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়টিও অস্বীকার করে বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার সৌজন্যতামূলক সম্পর্ক ছিল।
প্রসঙ্গত, বান্ধবী অর্পিতার বাসা থেকে টাকা পাওয়ার পর থেকে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এ তালিকায় আরেক বান্ধবী অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসের না উঠে এসেছে বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নানা প্রকার আলোচনা চলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে।