বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার যা করছে, তা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়, গোটা জাতির জন্য অচিরেই ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। সরকারের অসচেতন চিন্তাধারা বাংলাদেশকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনী সার্কাসের দিকে ধাবিত করছে। ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর এই নির্বাচনের খেলা কখনই জাতির জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে ড. মঈন খান বলেন, সরকার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনটিকে তাদের নির্বাচনী বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে। এটা তাদের জন্য কত বড় প্রলাপ তা তারা কল্পনাও করতে পারে না।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ বা আগ্রহ নেই বললেই চলে। এটি ইতিমধ্যে স্পষ্ট যে ভোটারদের যে কোনও ধরণের ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ নির্বাচনের ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। জনগণের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশে চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পাটানোর নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বও নির্বাচনে আস্থাহীনতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা যে সংলাপের ডাক দিয়েছিল, সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ফলে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কারণ নির্বাচনের নামে এখানে কত বড় প্রহসন হতে চলেছে তা তারা বুঝে গেছেন।
বিবৃতিতে মঈন খান আরও বলেন, সরকার ভেবেছিল এবারও একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে, যা হওয়ার নয়। কেন না, এটা ২০১৪ বা ২০১৮ নয়। এদেশে জনগণের আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি, এবারও হবে না।