বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন, বিশেষ করে ডেটা নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিক্স এবং ডাক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন যাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু করেছি। এর সফল বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল তিনটি। আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং গন্তব্য। যে 60টি দেশে আমরা সফ্টওয়্যার রপ্তানি করি তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড়। আমেরিকায় আমাদের আউটসোর্সিং ক্লায়েন্ট অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। আমরা কীভাবে এটি বাড়াতে পারি তা নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ত, ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকার সাহায্য করতে পারে। আরেকটি বিষয় হল কিভাবে আমেরিকা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ পোস্ট বিভাগের সাথে জি-টু-জি সহযোগিতা করতে পারে এবং আমেরিকান কোম্পানি বিশেষ করে অ্যামাজন, স্টারলিং, স্পেসএক্স, গুগল এবং ফেসবুকের বিনিয়োগ কিছু ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। বলেছেন
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ওরাকল, মাইক্রোসফটসহ বেশ কয়েকটি আইটি কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আরও কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতে চাই। সর্বশেষ সাইবার নিরাপত্তার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।