বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় গনমাধ্যমের প্রথম পাতায় মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের খবরে বলা হয়, ‘সংলাপসহ পর্যবেক্ষণ দলের ৫ দফার দ্রুত বাস্তবায়ন চায় বাইডেন প্রশাসন’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা সফররত মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
মার্কিন মন্ত্রী বলেন, মার্কিন সরকার প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের পাঁচ দফা সুপারিশকে পুরোপুরি সমর্থন করে এবং নির্বাচনে জনমত ও ভোটের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন সুপারিশগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
পররাষ্ট্র সচিবও বলেন, আমরাও তাদের চাওয়া মাফিক নির্বাচন হবে বলে আশ্বস্ত করে চলেছি।
সংলাপ প্রসঙ্গে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম হলো, ‘ ‘অর্থবহ সংলাপ চায় সবাই’।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য আলোচনায় বসা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে অর্থবহ সংলাপই শেষ ভরসা বলে মনে করেন তারা। আর এ উদ্যোগ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তরফ থেকেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘শর্ত’ যুক্ত করা হলে দিনশেষে এই সংলাপ অর্থহীন হয়ে পড়বে বলে জানান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে জড়িত হওয়ার সুপারিশ করেছে।
বড় দুই দলকে আলোচনার টেবিলে বসতেও অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেউ শর্ত জুড়ে দিয়ে আবার কেউ শর্ত ছাড়াই এক টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছে আওয়ীমী লীগ ও বিএনপিকে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো বড় দুই দলই তাদের অবস্থানে অনড়, কেউ কাউকে ছাড় দিতেও নারাজ।