ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রয়েছেন নানা আলোচনায়। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও তার মতো একজন বন্ধুপ্রিয় মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন। এছাড়া যে কনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবার আগে প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করেন গুণী এই অভিনেতা। সেই ধারাবাহিতা এবার জায়েদ খান বলেছেন, পর্দায় যেমন ভয় দেখাই বাস্তবেই ভয় দেখাতে জানি। সুতরাং ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শিল্পীরা ভয় পায়না। যতবারই শিল্পীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে ততই শিল্পীরা গর্জে উঠে প্রতিহত করেছে।
কদিন আগে শাপলা মিডিয়ার অফিসে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে এফডিসিতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে বক্তব্য দেয়ার পর জায়েদ খান বলেন, এই হামলার বিচার চাই। যদি এর বিচার না হয় তবে আমরা এফডিসির গেটে কঠোর কর্মসূচি পালন করবো। দরকার পড়লে সংগঠন থেকে রাজপথে নামবো।
৭-৮ দিনের মধ্যে অপরাধীর খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, শুধু আজ আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি ভাবলে ভুল হবে। যতদিন না তদন্ত শেষে বিচার হবে আমরা সক্রিয় থাকবো। দরকার হলে এফডিসির কার্যক্রম বন্ধ হবে। তারপরও মাস্তানি বা সন্ত্রাসীদের জায়গা এখানে হবে না। দ্রুত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়, র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করি।
শাপলা মিডিয়া অফিসে হামলার প্রতিবাদে এফডিসির পরিচালক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন মিশা সওদাগর, চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী, আলেকজান্ডার বো, সিমলা, অঞ্জনা প্রমুখ।
শাপলা মিডিয়ার অফিসে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নায়ক বাপ্পী চৌধুরী বলেন, এই প্রডাকশন হাউজটি যদি বন্ধ হয়ে যায় ক্ষতিটা ইন্ডাস্ট্রির ও দেশের হবে। তাই এফডিসির সংঠগনগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ জানান। যাতে দ্রুত সঠিক হামলাকারীদের বিচার হয়। প্রশাসনের যারা আছেন বিষয়টি দ্রুতভাবে যাতে দেখভাল করেন সেই আহবান জানাই।
২০০৮ সালে ‘ভালবাসা ভালবাসা’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় প্রথবারের মতো পা রাখেন জায়েদ খান। তবে পরবর্তীতে শাবনূরের বিপরীতে ‘আত্মগোপন’ সিনেমায় কাজের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন তিনি। এই মুহুর্তেও তার হাতে হয়েছে কয়েকটি সিনেমা।