সম্প্রতি তারকাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে বিনোদন মাধ্যমে সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।শুধু তাই নয় বিনোদনকর্মীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার পড়েন। তারকাদের এমন কাণ্ডে তাদের ভোক্ত ও দর্শকরা হতাশা প্রকাশ করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্টাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
কখনো কখনো গাছের চেয়ে ফলকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। যেমন ধরুন আপেল। নিউটনের সূত্রের দিকেই যাই, এখানে গাছ সম্পর্কে কোনো চিন্তাশীল কথাবার্তা নাই। যত চিন্তা চেতনা সবই আপেল সম্পর্কে। আপেল মাটিতে না পড়ে পুরো আপেলগাছ যদি নিউটনের মাথায় ভেঙে পড়তো তখন বিশ্বের বিস্ময় নিউটনকে আমরা কি পেতাম? তখন কি আমরা “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”-এই কথাটা উপলব্ধি করার সুযোগ পেতাম?মোদ্দা কথা হল গাছ থেকে আপেল না পড়ে গাছ ভেঙে পড়লে যেমন বিপত্তি ঘটতো, তেমনি বিপত্তি ঘটেছে আমাদের ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রিতে পরীমণিদের মত অভিনেত্রীদের আগমণে। থ্যাংকসগিভিংয়ের হলিডের সময় “মুখোশ” দেখেছিলাম। মোশাররফ করিম পরীমণি ছিলেন অভিনয়ে। পরীমণিকে দেখে যারপরনাই হতাশ হলাম। তার মুখে তাক লাগানো কোনো অভিব্যক্তি নেই। একজন অভিনেত্রীর বড় গুণ হচ্ছে তার অভিব্যক্তি। অভিব্যক্তির পায়ে হুইল থাকা লাগে। যে হুইল দিয়ে উইদিন মোমেন্টে ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন চেঞ্জ হয়ে যাবে। এই অভিব্যক্তি দিয়েই দর্শকের হৃদয়ে ঢুকতে হয়।পরীমণি সেটা জানেন না। “মুখোশে” বস মোশাররফ করিম হলেন রাজাধিরাজ। এই ব্যক্তি কমেডি দিয়ে যেভাবে দর্শকের পেটে খিল ধরাতে পারেন,তেমনি সিরিয়াস অভিনয় করে কাঁদাতে জানেন। আবার নেগেটিভ অভিনয় করেও দর্শকের হৃদয়ে ঢুকতে পারেন।”মুখোশ”-এ পুরো রাজত্ব ছিল মোশাররফ করিমের।পরীমণি ছিলেন গৌণ এক চরিত্র। এই শক্তিমান অভিনেতার পাশে পরীমণিকে উচ্ছিষ্ট মনে হয়েছে।
অভিনয়ে পরীমণির একটা কমতি আমি দেখতে পেয়েছি। তিনি মুখ খুলে সংলাপ উচ্চারণ করেন না। তার ডায়লগ ডেলিভারি দেখলে মনে হয় শব্দগুচ্ছকে মুখে কয়েদ (বন্দী) করে রেখেছেন। এখন শব্দগুচ্ছকে যদি তিনি প্রিজনে রেখে দেন, সে অভিনয় পাবলিক অ্যাকসেপ্ট করবে কিভাবে?পরীমণি নিঃসন্দেহে যথেষ্ট সুন্দরী। তিনি এখনো অভিনেত্রী হতে পারেননি। রিসেন্টলি তার অভিনীত “পাফ ড্যাডি” রিলিজের আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমি এই ডার্কেস্ট ওয়েব ফিল্মের ট্রেইলার দেখে বিরক্ত হয়েছি। মনে একটা প্রশ্ন জাগলো,পরীমণি এত অশালীনভাবে কেন ক্যামেরার সামনে আসেন?সেক্স ভায়োলেন্স ডার্কনেসে ভরপুর “পাফ ড্যাডি” আইনী নোটিশ পাওয়াতে স্বস্তি পেয়েছি। নির্মাতারা এসব ডার্টি ফিল্ম প্রমোট করেন নির্লজ্জের মত। আর পরীমণির মত খেয়ালী অভিনেত্রীরা দুই পা এগিয়ে নিজেকে ন্যাস্টি ওয়েতে ক্যামেরার সামনে নিজেকে খুলেমেলে ধরেন। আপেলের সূত্রে আবার ফিরে আসছি-নিউটনের তৃতীয় সূত্রের বেলায় যেমন আপেল ছাড়া গাছের দাম নেই, তেমনি অভিনয় ছাড়া পরীমণির মত নন-সিরিয়াস ফিতা কাঁচিসর্বস্ব স্বঘোষিত অভিনেত্রীদের এক সিকি পরিমাণ দাম নাই। পরীর গায়ে কিন্তু নিউটনের থিওরির আপেল এসে পড়েছে। অভিনয় নিয়ে এই যদি হয় তার অধ্যাবসায় তাহলে আগামী কুড়ি বছরে পরীমণি বলে কোনো অভিনেত্রীর অস্তিত্ব মানুষ ভুলে যাবে।