ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি রাজ শরিফুল রাজ এবং পরীমনির বাস্তব জীবনের সংসার ভাঙ্গনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। তারা এক সাথে ঘর বাধলেও সংসার জীবনে ইতি টানতে চলেছেন। এখন শুধুমাত্র তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ বাকি। পরীমনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন।
মূল অভিযোগ ছিল রাজ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করা হয়েছে। পরীমনির রক্তাক্ত বিছানার ছবিও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত দুইদিনে ফে”সবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে পরীমনি রাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু রাজ শুরু থেকেই এসব বিষয়ে নীরব ছিলেন।
নববর্ষের দিন ফে”সবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্বভাবতই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল পরীমনিকে নিয়ে রাজ কি লিখেছেন।
নানা অভিযোগ তুলে পরীমনি যখন ডিভোর্সের ঘোষণা দেন, তখনই ফে”সবুকে ছেলের ছবি শেয়ার করে ছেলের জন্য শুভ কামনা জানান শরিফুল রাজ।
রাজ লিখেছেন- ‘প্রিয় পুত্র আমার, এ বছর তো অবশ্যই, ভবিষ্যতেও তোমার ভালো সময় কাটুক। আগামী বছরগুলিতে তোমার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমার হৃদয় সবসময় তোমার জন্য ভালবাসা পূর্ণ. তুমি যত বড় এবং শক্তিশালী হও না কেন! তুমি কখনই আমার ভালবাসাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না – শুভ নববর্ষ।
এর আগে, বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত ছিল না, যদিও রাজ-পরীর সাংসারিক সংকট সম্পর্কে কিছু তথ্য সামনে এসেছিল। তবে ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে রাজ-পরী দম্পতির বিচ্ছেদের খবর ছড়াতে থাকে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে, রবিবার ভোর ৫টায়, নায়িকা তার ফে”সবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ র”ক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজিতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন। তিনি লিখেছেন- ‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন।
এদিকে রোববার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে পরীমনি তার নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন।
পরীমনি লিখেছেন- বাবা-মায়ের মধ্যে একটি ‘অসুস্থ সম্পর্ক’ সন্তানের জন্যও ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আর তাই তিনজনের ভালোর জন্যই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে দিনভর নাটকীয়তার মধ্যেও নীরব ছিলেন শরিফুল রাজ। রোববার দুপুর ২টায় শরিফুল রাজ বলেন, ‘আমি আসলে এসব বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি কি ঘটছে সে সম্পর্কে কিছুই জানি না, জানতে চাই না। আমি বাসায় আছি সারারাত ঘুমাইনি। এখন ঘুমানোর চেষ্টা করছি। এদিকে রাজ পরীর মারধরের বিষয়ে কিছু বলেননি।
এর আগেও রাজ এবং পরীমনির মধ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে সাংসারিক টানাপোড়েনে সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা তাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে পুনরায় একত্রে সংসার জীবন শুরু করেন। কিন্তু কোন একটি কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে তোলে। অবশেষে সেই দূরত্বের দূরত্ব যোজন যোজন পথ বাড়িয়ে দিতে যাচ্ছে।