শেষ পর্যন্ত আর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে কানাডায় গর্ভধারিনী মায়ের কাছে আর পাড়ি জমানো হলো না ১৬ বছর বয়সী ইশামের। তার আগেই প্রাণ হারিয়ে পরপারে চলে গেছে মেধাবী এই শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি মিনিবাসে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ইশামের সঙ্গে থাকা আরও ১০ জন মারা যান। আর এই ১০ জনের সাথে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের সাথে হারিয়ে যায় ইশামও।
জানা যায়, হিশাম হাটহাজারীতে মামার বাড়িতে লেখাপড়া করতো। তিনি হাটহাজারী উপজেলার কেএস নজু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তার বাবা ২০০৭ সালে মারা যান। চার সন্তানের মধ্যে হিশাম ছিলেন কনিষ্ঠ।
কান্নার কণ্ঠে আকবর হোসেন মানিক বলেন, হিশামের বাবা মারা যাওয়ার পর তাকে নিজের ছেলের মতো মানুষ করেছি। এসএসসি পরীক্ষার পর মায়ের সঙ্গে কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। তার মাকে কি জবাব দেব?
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে হিশাম তার শিক্ষক ও বন্ধুদের নিয়ে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় যাওয়ার কথা বলে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে খৈয়াছড়া জলপ্রপাত দেখে ফেরার পথে মিরসরাইয়ের বড় টাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মিনিবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এমন ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটেছে এমন আরো বেশ কিছু দুর্ঘটনা। কিন্তু তারপরেও যেন টনক নড়ে না কৃর্তপক্ষের। দায়িত্বের অবহেলার কারনেই আবারো ঘটেছে এমনটি। যার ফলে এবার ঝড়ে গেল ১১ টি তাজা প্রান যা হতে পারত দেশের পরবর্তি ভবিষ্যত।