হলে পরীক্ষার্থী ছিলেন শুধুমাত্র একজন থাকলেও নকল করায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। ওই পরীক্ষার্থী ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেনীর একজন শিক্ষার্থী এবং তিনি পরীক্ষায় বিএ পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
এই দিনে তার ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু এস এম নুরুন্নবী যিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি ঐ পরীক্ষার্থীর নকলের বিষয়টি ধরে ফেলেন। পরীক্ষার্থীকে সেই সময়ই তাকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়। ফলে পরীক্ষার কক্ষটি শূন্য হয়ে পড়ে।
পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকও সবকিছু গুছিয়ে হল ত্যাগ করেন। শনিবার ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি ও বিএ পরীক্ষা চলছে। ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ ও ঝিনাইদহ কলেজ কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার কেসি কলেজে বিএ পরীক্ষা দিচ্ছিলেন এক ছাত্র। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ৯টায়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম নুরুন্নবী। তিনি কেন্দ্রে ঢুকে ওই ছাত্রের হাতে কপি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বের করে দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম নুরুন্নবী জানান, কেসি কলেজ কেন্দ্রে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল। চুরির দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন বলে পরীক্ষার্থীদের জানানোর অভিযোগে এক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম নুরুন্নবী এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন, কেসি কলেজ কেন্দ্রটিতে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল এবং নকল করে ধরা পড়ার জন্য তাকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছে। সেখানে একজন শিক্ষক তাকে গার্ড দিচ্ছিলেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন এমন কথা বলে পরীক্ষার্থীকে সতর্ক করার চেষ্টা করার অভিযোগে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।