চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda, Chittagong ) একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রয়ানে সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দগ্ধ ও আহত প্রায় শতাধিক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপো ( BM Depot ) নামের কন্টেইনার টার্মিনালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda, Chittagong ) বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে পাঁচ দমকলকর্মী প্রয়াত হয়েছেন। রাসায়নিক কন্টেইনারে বিস্ফোরণ ও পানির স্বল্পতার কারণে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এমন ভয়াবহ ঘটনায় ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত ফায়ার ফাইটার সোহেল ( Sohail )। আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ( fire service ) কর্মী সোহেল ( Sohail )ও। তারা সবাই আগুন নেভাতে ব্যস্ত। সোহেল ( Sohail ) ভয়ানক পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে এবং তার সাথে থাকা সদ্য হারিয়ে যাওয়া সহকর্মীদের কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোহেল ( Sohail ) জানান, তিনি পাঁচ সহকর্মীকে হারিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ডিপো এলাকায় পানির ঘাটতি রয়েছে। কন্টেইনারের কাছে গিয়েও আগুন নেভানো যাচ্ছে না।
দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ব্রিগেডের অসংখ্য সদস্য আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় ডিপোতে প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল। সেখানে দাহ্য পদার্থ আগুনের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। শনিবার রাতে বাতাসের কারণে আগুন বাড়তে থাকে। ডিপো এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার রাতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মীসহ অন্তত ২৬ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় ৬০ একর জমিতে কন্টেইনার ডিপো অবস্থিত। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এখনও আগুন জলছে। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে এ চিত্র দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে গেলেও নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত জানান, দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। আরও দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। শনিবার রাত দেড়টার পর চারজনের মৃত্যুর খবর জানান তিনি। তিনি তাদের একজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।