বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একজন সঙ্গীত শিল্পী মনির খান। দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে একাধিক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের মনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। কেবল শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অগুনিত ভক্ত। আর এরই সুবাদে বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে যেতে হয় তাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার থাইল্যান্ডে গিয়ে ব্যক্তিগত সময়ে শখের বশে মাছ ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই শিল্পী। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১০টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাল দিয়ে মাছ ধরার একটি ভিডিও পোস্ট করেন মনির খান।
মনির খান প্রায় পাঁচ মিনিটের ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি শুধু শিল্পী নই’। ভিডিওতে তাকে দেখা যায়, ঝাঁকি (ক্ষ্যাপা) জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। আর তাদের সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বাংলাদেশি কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আর ভক্ত-অনুরাগীরা মন্তব্যের ঘরে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন প্রিয় শিল্পীকে।
মনির খান ব্যাংকক থেকে একটি দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর ব্যাংককে একটি শো ছিল আমার। শো শেষ করে এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। এর মধ্যে গীতিকার লিটন শিকদার ভাই বললেন, গালফ অব থাইল্যান্ডে বিকেল ৩টা থেকে ৫/৬টা পর্যন্ত প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। এ কারণে শখের বশে জাল নিয়ে বের হই আমরা।
এই শিল্পী উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, শুরুতে ভেবেছিলাম মাছ পাব কি, পাব না। কিন্তু না, হতাশ হতে হয়নি। মাছগুলো খুব বেশি বড় না হলেও বেশ ভালোই মাছ পেয়েছি। এক ঝাঁকেই অন্তত ৬/৭ কেজি মাছ উঠেছে। জালের প্রতিটি ঘরেই মাছ ছিল।
‘অঞ্জনা’ খ্যাত শিল্পী বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি কপোতাক্ষ নদের পাশে। ছোট বেলায় শখের বশে মাঝে মাঝে ঝাঁকি (ক্ষ্যাপা) জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। বৃষ্টি হলে মাছ ধরার যে আনন্দ তা মুখে বলে বুঝানো সম্ভব না। গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসার পর সেই দিনগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। যা এখন কেবলই স্মৃতি।
শিল্পী বলেন, ব্যস্ততা আর পরিবেশের কারণে দিনগুলো হারিয়ে গেলেও অভ্যাস তো রয়ে যায়। গ্রামে বেড়ে ওঠা ছেলে আমি। মা, মাটি, গ্রাম-বাংলার প্রতি টান রয়েছে। তাই সময় ও সুযোগ পেলে সেই পুরোনো দিনগুলোয় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ‘তোমার কোন দোষ নেই’ নামক একটি একক অ্যালবামের মধ্য দিয়ে বিনোদনের ভূবনে প্রথমবারের মতো পা রেখেই ভক্তদের মন জয় করে নেন মনির খান। এছাড়া বাংলা বেশ কিছু সিনেমায় গান গেয়েও জনপ্রিয়তার শীষে পৌছে যান তিনি।