বর্তমান সময়ে সরকার দেশের হতদরিদ্র এবং অস্বচ্ছল পরিবারকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে সরকার। কোনো পরিবারে যদি ১৫-১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে থেকে থাকে তবে ঐ সকল পরিবারগুলোকে ভিজিডি দেওয়া হবে। মহিলা ও শি’/শু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ভিজিডিকে এমন পরিবারগুলোকে তালিকায় এনে সুবিধাভোগী হিসেবে তালিকাভূক্ত করতে বলেছে। সংসদীয় কমিটির সদস্যরা এ ধরনের নির্দেশনা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) অর্থাৎ ২১ অক্টোবর সংসদ ভবনে এই বিষয় নিয়ে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবারে ১৫-১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে থাকলে ২০২৩-২০২৪ চ’ক্রে উপকারভোগী তালিকায় রাখতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে দেশব্যাপী মহিলা ও শি’/শু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে দুই শিফটে কার্যক্রম চালু করা এবং ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া বাল্যবিয়ে রো’ধকল্পে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ইউনিয়নভিত্তিক ‘কাজী’সহ অন্যান্যদের এর ক্ষ’তিকারক দিক সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ রাখা হয়েছে।
নির্মাণাধীন জয়িতা টাওয়ারে বিপণন কেন্দ্র বরাদ্দের ক্ষেত্রে একটি আইন প্রণয়ন, পণ্যের গুণগত মান ও ডিজাইন নিশ্চিতকরণ এবং ই-জয়িতা ও ই-কমার্স বিষয়ে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি।
মহিলা ও শি’/শু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সাহাদারা মান্নান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যে সকল পরিবারে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে ঐ সকল পরিবারের অভিভাবকেরা তাদের বিয়ের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়। কারন অনেক পরিবার তাদের এই বয়সী মেয়েদের বোঝা মনে করে বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলোতে। বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির সময়ে অনেক দরিদ্র পরিবার বাল্য বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছে যাদের বেশিরভাগই বিদ্যালয়ের চৌকাঠ পেরোতে পারেনি।