বিভিন্ন সময় দেখা উঠতি বয়সের তরুন তরুনীদের প্রেম নিয়ে নানা ঘটনার জন্ম হয় এবং সেই সাথে দেখা যায় আবেগের বশে পড়ে অনেকে অনেক কান্ড ঘটিয়ে বসে এবং নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবার শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এর পর অবশ্য সেই নিখোঁজ প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকা থেকে প্রেমিকসহ মাহদি মৃধাকে উদ্ধার করা হয়। প্রেমিকা উপজেলার ভাটপুর গ্রামের কোটেশ্বর বর্মণের মেয়ে ও বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত রোববার স্কুলে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন প্রেমিকা।
পুলিশ জানায়, ৮ মাস আগে ফেসবুকে গাজীপুর জেলার হোতাপাড়া এলাকার একটি সিরামিক কারখানার শ্রমিক মাহদি মৃধার সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২৪ জুলাই মাহদী তার মোবাইল থেকে ছাত্রীর মায়ের মোবাইলে জানায়, তাকে স্কুল থেকে বৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। এজন্য তাকে স্কুলে আসতে হবে। স্কুলে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার পরিবার নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
এদিকে প্রেমের টানে গাজীপুরে প্রেমিক মাহদী মৃধার কাছে চলে যায় ওই ছাত্রী। মাহদীর পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে চায়নি। গত সোমবার গাজীপুর আদালতে হলফনামা দিয়ে প্রেমিক মুসলমান হয়েছেন। তার বর্তমান নাম তাবাছুম মৃধা। এরপর থেকে দুজনের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। তাবাচ্চুমের বাবা যাতে খুঁজে না পান, সে জন্য গত মঙ্গলবার মঙ্গলবার অনুরাধা সেন নামে (তাবাচ্ছুমের) ফেসবুক আইডি থেকে মুখ বাঁধা মৃত লাশের মতো একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয় না খোঁজাই ভালো। খুঁজে লাভ হবে না। সি ইজ ডেড। এই ছবি দেখে তাবাচ্চুমের পরিবার ওই আইডিতে ফোন করলে তাদের বলা হয়, তাবাচ্চুম আর বেঁচে নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে চিন্তিত তাবাচ্চুমের পরিবার। পুলিশকে খবর দিলে শনিবার গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে ওই দম্পতিকে নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে তাবাচ্চুম জানায়, সে নিজ ইচ্ছায় গাজীপুরে মাহদীর কাছে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে তার মৃত্যুর ঘোষণা দিলে তার পরিবার তাকে খুঁজবে না। ছেড়ে দেবে। সেজন্য ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে লাশের মতো কররে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বাছির আহমেদ বাদল জানান, এটি প্রেমের সম্পর্ক। নিখোঁজ তরুণীকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী থানায় আনা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে