হঠাৎ করেই দেশ জুড়ে লিটার প্রতি ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে পরিবহন সেক্টরে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এরই সূত্র ধরে দেশের সকল পরিবহন মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। অবশেষে এই ধর্মঘট প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান।
ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহন মালিকরা বাধ্য হয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। এটাকে পরিবহন ধর্মঘট বলা যাবে না এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টেলে মুঠোফোনে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন শাজাহান খান। শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহন মালিকরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। এটা পরিবহন ধর্মঘট নয়। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মঘট কর্মসূচি দেইনি। সড়কে পরিবহন মালিকরা গাড়ি নামাতে না চাইলে আমরা কি করব? চালকরাও অসহায়।
তিনি বলেন, সারাদেশে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখার পরিস্থিতি নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমরা সবাই চেষ্টা করতে পারি। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই সরকারকে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করতে আলোচনার দরকার। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। আগামী রোববারের আগে পরিবহন বন্ধ রাখার পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।
পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘটে বেশ বিপাকে পড়েছে জনসাধারন। এমনকি অনেকেই দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়েছেন। এছাড়াও জনসাধারনের দৈনন্দিন কাজে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সংকট। তবে চলমান এই সংকটময় পরিস্তিতি মোকাবিলায় সরকার কাজ করছে। এমনকি বাংলাদেশের সড়ক পরিব হন ও সেতুমন্ত্রী অবায়দুল কাদের এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।