সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের প্রশ্ন তুলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন সুপার রতন কুমার রায়। যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ ঘটনায় তার দ্রুত পদত্যাগ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশ করে নানা অনিয়মের কথা বলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানান সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন রামপদ রায়।
ভিডিওতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয় দেয় এবং হাসপাতালের ৯টি অনিয়মের বিষয়ে প্রশ্ন করে। এতে উত্তেজিত হয়ে তিনি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন এবং শিক্ষার্থীদের গলা কাটার হুমকি দেন।
এ দিকে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দায়িত্বরত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
ঘটনার বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আনজারুল ইসলাম বলেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি নানা অনিয়মে জর্জরিত। সেখানে সেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার সকাল থেকেই আমরা হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় আমরা হাসপাতালের নয়টি অসঙ্গতি চিহ্নিত করে তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলতে যাই। কিন্তু এসব অনিয়মের কথা শুনেই তিনি উত্তেজিত হয়ে উল্টো আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি ও গলা কাটার হুমকি দেন। আমরা তার দ্রুত পদত্যাগ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছি সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের কাছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।