নায়িকার সঙ্গে পরিচালক বা প্রযোজকের রোমান্স নতুন কিছু নয় এবং এ নিয়ে ঘর ভাঙার অনেক উদাহরণ রয়েছে। গ্ল্যামার জগতের জীবনে এমন ঘটনা প্রায়ই আসে। তবে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে এসব ঘটনা একটু বেশিই শিরোনামে। যেমনটা ঘটেছে দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাময়া কৃষ্ণনের সঙ্গে।
এক সময় দক্ষিণী প্রযোজক কে এস রবিকুমারের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক এবং গর্ভাবস্থার বিষয়ে আলোচনায় রাময়ার নাম উঠেছিল।
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাময়া কৃষ্ণান। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন দক্ষিণী এই অভিনেত্রী। তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রায় ২৬০টি সিনেমা করেছেন।
এমনকী বলিউডেও পা রেখেছেন রামায়া কৃষ্ণান যশ চোপড়রা ‘পরম্পরা’ চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। এরপর সুভাষ ঘাইয়ের ‘খলনায়ক’, মহেশ ভাটের ‘চাহাত’’ এবং ডেভিড ধাওয়ানেক ‘বানারসি বাবু’, ‘বাড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’তে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি এসএস রাজমৌলির বাহুবলী’তে তাঁর অভিনীত চরিত্র শিবগামী ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
তবে রামায় কৃষ্ণন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেক আলোচিত ছিলেন।
দক্ষিণী পরিচালক কে এস রবিকুমারের সাথে তার সম্পর্ক গোপন নয়। সবাই জানতো তাদের ভালোবাসার কথা। কেএস-এর অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন রামায়। আর সেই পরিচয় একসময় প্রেমে রূপ নেয়। বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়েছিলেন রমায়া।
তবে পরিচালক রবিকুমার ছিলেন বিবাহিত।
নিউজ ১৮-এর প্রতিদেন অনুসারে, রবিকুমারের সঙ্গে রামায়ার সম্পর্ক অনেক গভীর হয়ে যায়। একসময় অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। ওদিকে রবিকুমারের স্ত্রী এই খবর শুনে অভিনেত্রীকে হুমকি দিতে থাকেন। সন্তানের জন্ম ও তাঁর পরিচয় নিতে অস্বীকারও করেন পরিচালক। ফলে একপর্যায়ে এসে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন রামায়া।
এরপরে ২০০৩ সালে, এই অভিনেত্রী গাঁটছড়া বাঁধেন পরিচালক কৃষ্ণা বামসির সাথে। বর্তমানে দক্ষিণী ছবিতে নিয়মিত অভিনয় করছেন রাময়। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল রজনীকান্তের বিপরীতে ‘জেলার’ ছবিতে।