মিমি চক্রবর্তী ( Mimi Chakraborty ) হলেন টলিউডের একজন খুব জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি তার অসাধারণ অভিনয়ের দ্বারা জয় করে নিয়েছেন কোটি দর্শকের হৃদয়। মীম অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমাতে এবং পেয়েছেনও অনেক চলচ্চিত্র পুরুষ্কার। তবে তিনি সম্প্রতি একটি কাজ করে চলে এসেছেন সমালোচানার কেন্দ্র বিন্দুতে। দরগায় গিয়ে মাথা ঠেকিয়ে রাখতে দেখা যায় তাকে। তারপর শুরু হয় অনেক সমালোচনার।
কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের ইকরাম হলদিবাড়ি দরবার-ই-দরবার পরিদর্শন করেন। যাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটিজেনরা। সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় দরগায় তোলা কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট করেন মিমি। ক্যাপশনে লেখা, ‘হুজুর সাহেবের দরগাহ’। দেখা যায়, মিমি দরগায় যাচ্ছেন এবং মাথা নিচু করে প্রার্থনা করছেন। তার সঙ্গে একটি ছোট মেয়েকেও দেখা যায়।
ছবিগুলি পোস্ট করার পরেই নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। দুই ঘন্টার মধ্যে, ৩১০০০ এরও বেশি নেটিজেন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা এক হাজারের বেশি মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ মিমির প্রশংসা করলেও অনেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
শফিউল আজম পাভেল লিখেছেন, “দরগায় যাওয়া ভালো, ম্যাম, কিন্তু দরগায় শুয়ে থাকা লোকটি মাথা নিচু করাও অপছন্দ করে।” মোহাম্মদ ইমরান স্বপন লিখেছেন, ‘অন্য ধর্মের অনুসারীদের মাজারে যাওয়া মানে তাদের কাছে ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা। ইসলামে মাজারে মাথা নত করা মানে শিরকের মতো মহাপাপ। ‘
সানাউল্লাহ রনি লিখেছেন, ‘তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে তার কাছে কিছু চাওয়া যাবে না। আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। যদিও আপনার ব্যবসা আলাদা। রতন বারাই লিখেছেন, ‘মিমি চক্রবর্তী আমাদের সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করেন না। সে জন্য মাজারে আসক্ত হয়ে পড়ছেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি ভাবলেন যে তিনি অন্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন কিনা।
লিটন আহমেদ লিখেছেন, ‘সমাজে এত নতুনত্ব তাদের জন্যই। আলেমদের ছেড়ে তাদের অনুসরণ করে আজ মানুষ কবরে সিজদা করে মৃত ব্যক্তির জন্য প্রার্থনা করে। এগুলো শিরক। মামুন শেখ লিখেছেন, ‘কবরের কাছে মাথা নত করা হারাম। কিছু চাইলে সরাসরি আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। নিখিল ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘মায়ের পায়ে মাথা ঠোকাও, তাহলে তোমায় পরাজিত করার ক্ষমতা আর নেই।’
মিমি যে দরগায় গিয়েছিলেন সেটি বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় অবস্থিত। শুধু মিমি নন, এর আগেও দরগায় গিয়ে সমালোচিত হয়েছেন তারকা দম্পতি রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী। একই বিষয়ে আলোচনায় এসেছেন আরেক তারকা দম্পতি যশ দাশগুপ্ত ও নুসরাত জাহান।
প্রসঙ্গত, সাধারণত নিজের মনের কাছে যেইটা ভালো লাগে মানুষ সেই্টা করে থাকে। মানুষের মন পরিবর্তনশীল। তাই কে কখন কি করবে সেইটা আসলে বোঝা বড় দায়। মীম তার মনের ইচ্ছে বা ভালো লাগা থেকেই হয়তো গিয়েছেন দরগায়। আর তাই অনেকে মনে করছেন এই বিষয় নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা মোটেও উচিত না।