খেয়াল রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। দুই তরুনী যে অসামাজিক কর্মকান্ড ঘটিয়েছে সেটা আমাদের সমাজে খুবই লজ্জাকর।
আমরা সবাই জানি ফেস/বুক বর্তমান সময়ের খুব জনপ্রিয় একটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ফে/সবুক ব্যবহার করে থাকে। ফেস/বুকের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বের খবর অনেকটা মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাই। তাছাড়া ফে/সবুক আবিষ্কার হবার পর থেকে যোগযোগের ধারা লক্ষণীয়ভাবে বদলে গেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানুষ এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে ভালো কাজে ব্যবহার না করে অসাধু কাজেই বেশি ব্যবহার করছে। সম্প্রতি একটা সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে দুই কিশোরীর প্রেমের ঘটনা যেটা সত্যিই অবাক করা একটা বিষয়।
টাঙ্গাইল ( Tangail )ের বাসাইল উপজেলায় পরস্পরের সঙ্গে সংসার করতে চাওয়া সেই দুই কিশোরীকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন ( Nahida Parveen ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় ( evening ) উপজেলার ফুলকী ( Sparkle ) ইউনিয়ন পরিষদে দুটি পরিবারের অভিভাবকদের নিকট থেকে মুসলেকা রেখে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নোয়াখালী সদর ও টাঙ্গাইল ( Tangail )ের বাসাইল উপজেলার বাসিন্দা দুই কিশোরীর প্রায় দুই বছর আগে ফেস/বুকে পরিচিত হয়। সেই থেকেই ফে/সবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাদের। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে রোববার ( Sunday ) (২০ মার্চ ( March )) তাদের দুই জনের ফোনে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যায় ( evening ) নোয়াখালীর ( Noakhali ) কিশোরী টাঙ্গাইল ( Tangail ) শহরে চলে আসে।
এদিকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুজন। এ সময় চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরতে থাকে। উপস্থিত অনেকের মনেই বিষয়টি দাগ কাটে। হতভম্ব হয়ে যান সবাই।
ফুলকী ( Sparkle ) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম বিজু ( Shamsul Alam Biju ) বলেন, ইউএনও স্যার বিষয়টি সমাধানের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে দুই কিশোরীর অভিভাবকের সঙ্গে বসে কথা বলে লিখিত নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে দুই কিশোরী যাতে আর যোগাযোগ করতে না পারে, সে ব্যাপারে তাদের পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন ( Nahida Parveen ) বলেন, নোয়াখালীর ( Noakhali ) ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কিশোরীর পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। এরপর ফুলকী ( Sparkle ) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলা হয়। তিনি তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে দুই কিশোরীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই ধরণের কর্মকান্ড শুধু তাদের নিজেদেরকে ঘৃণিত মানুষে পরিণত করেনি, বরং তারা তাদের পরিবারকেও সমাজের কাছে অপমানিত ও হেয় করছে। ছেলে মেয়েদের কর্মকান্ডের প্রতি প্রতিটি বাবা মাকে সচেতন হতে হবে। তারা যেন কোনো ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদেরকে জড়াতে না পারে সেদিকে বাবা-মায়ের সর্বদা খেয়াল রাখা উচিৎ