মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন চেম্বার আদালত। তবে তাকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ দুদক একটি মামলা করে। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
জাকির হোসেনের দাখিলকৃত আয়কর নথি অনুসন্ধান করে তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য পায় দুদক। ২০২১-২২ সালের আয়কর নথি অনুযায়ী, ধানমন্ডির ১ নম্বর রোডে জাকির হোসেনের নামে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, ২৬৩ তারিখে ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা ভবন। খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় একর জমিতে মোট মূল্য ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা রিয়েল এস্টেট পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া আয়করের কাছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার টয়োটা রোজ গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকাসহ মোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে। ব্যাংক হিসেবে রাখা হয়েছে ৭২ হাজার ৫০৬ টাকা। সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।
জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।