এ কে আব্দুল মোমেন হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ তিনি। সিলেট-১ আসন থেকে এ কে আব্দুল মোমেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বললেন আপনারা সবাই তো আমারে খায়া ফেললেন।
এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সাংবাদিকরা তাকে বিপাকে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ‘স্বর্গের’ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হেসে ফেলেন। পরে তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাকে ধরেছেন। আমি দুঃখিত আমি স্বর্গীয় শব্দের কথা বলেছি। কিন্তু আপানারা আমাকে খেয়ে ফেলেছন। তিনি বলেন, পরশু আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন? আমি বললাম, আমরা ভালো করছি। এই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়া পড়া রোগের সময় গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৯৪১ তবে আমরা আরও ভালো করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছি। সে কারণে আমাদের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আমেরিকা বেড়েছে ৯.১ শতাংশ, যুক্তরাজ্য বেড়েছে, তুরস্ক বেড়েছে, পাকিস্তান বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, মিয়ানমার বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা অনেক ভালো আছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। আপনি বলতে পারেন আমি স্বর্গে আছি। আর যাই কোথায়! সবাই আমার সাথে আছে। এটা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিনাশ।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করেছি? সর্বোপরি আমি একজন পাবলিক ফিগার। অবশ্যই আপনি আমার সমালোচনা করতে পারেন। আমি কিছু মনে করি না। তবে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন। আমি একজন খোলামেলা মানুষ। আমি একজন শিক্ষক. আমি যা মনে করি তা খুলে বলি। আমার দলও আমাকে বলেছে, এই অবস্থান থেকে ভালো করে কথা বলা দরকার।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিলেটে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বর্গে আছে’। এরপর মন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের সকল দেশেএ সাথে পররাষ্ট্রনীতি খুব ভালো পর্যায়ে আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অভাবনীয়ভাবে বেড়ে গেছে যার ফলে সাধারণ মানুষরা পড়েছে সীমাহীন বিপাকে। বাংলাদেশেও সেই বিরুপ প্রতিক্রিয়া এসে পড়েছে তবে সরকার অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিত স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।