শাজাহান খান হলেন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। তিনি সাবেক নৌপরিবহণ ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্য বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। এ ধরনের বক্তব্যের দায় সরকার বা দল কেউই নেবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে মাদারীপুর শহরের লেকসাইডের ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শাজাহান বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তার নিজস্ব ব্যাপার। তিনি কী জন্য এমন বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন। শেখ হাসিনা সরকার কোনো দেশের লেজুড়বৃত্তি করে না। প্রজা হিসেবে কোথাও থাকে না। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, এ দেশের জনগণ সবাই স্বাধীন। সুতরাং স্বাধীন দেশের জনগণের মতামতের মধ্য দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করে। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। শেখ হাসিনা সরকার কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ চাইলে শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসবেন।
এসময় এলজিইডি মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান, সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোমসাদুজ্জামান মিমুন, ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ শিল্পী বিল্পব দত্তসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুর শহরের লেকের ধারে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে `ধানমন্ডি থেকে পলাশী`। এখানে ভাস্কর্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলার মানুষের অসীম ভালোবাসা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরপর তিন বার ক্ষমতায় এসেছে। এরকম নজির বাংলার ইতিহাসে নেই। বাংলার মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে সেইটা তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন। ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী একে কে বাংলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ করছেন।